কিছু বিশেষ মুহুর্ত: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগে চন্দননগর ছিল…

Video Gallery

কিছু বিশেষ মুহুর্ত:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগে চন্দননগর ছিল বিপ্লবীদের কর্মকান্ডের অন্যতম পীঠস্থান। মহান বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর স্মৃতি-বিজরিত এই চন্দননগর শহর। এখানে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট অ্যান্ড মিউজিয়ামে সেই মহান বিপ্লবীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলাম।

চন্দননগরে সংঘগুরু মতিলাল রায়ের প্রবর্তক সংঘ ছিল একদা বিভিন্ন বিপ্লবীর আশ্রয় কেন্দ্র। শ্রীঅরবিন্দের পন্ডিচেরি যাত্রার আগে তাঁকে চন্দননগরে তাঁর প্রবর্তক সংঘে আশ্রয় দিয়েছিলেন মতিলাল রায়। একদা মতিলাল রায় এবং তাঁর প্রবর্তক সংঘ রাসবিহারী বসু, বাঘাযতীন-সহ অগণিত মহান বিপ্লবীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে সেই প্রবর্তক সংঘে গিয়ে মতিলাল রায়ের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলাম।

প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেই অভিযানে অংশগ্রহণ করলাম। ঐতিহাসিক সুভাষগ্রামে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর র্মমর মূর্তিতে মাল্যদান করলাম এবং তাঁর পৈতৃক বাড়িতে আমরা ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা তুলে ধরলাম।

প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদি ১৪ আগস্ট ‘দেশভাগ বিভীষিকা দিবস’ পালনের যে আহ্বান করেছিলেন, সেই উপলক্ষ্যে নদীয়া জেলার কুপার্স ক্যাম্পে প্রদর্শনী ও মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করলাম।

১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যেবেলায় ভগবানপুরে অন্তোদয় অনাথ আশ্রমে গিয়ে আমার তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটালাম। ‘অমৃতকাল’ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং বক্তব্য রাখলাম। আগামী দিনে ভারত যাতে বিশ্বগুরুর আসন লাভ করতে পারে, সেই লক্ষ্য ও প্রচেষ্টার কথা মাথায় রেখে তাঁরা যেন ভবিষ্যতে তাঁদের প্রস্তুত করেন, সেই আহ্বান জানালাম।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই কয়েকটি দিন মহান বিপ্লবী এবং তাঁদের আদর্শের স্মরণে কাটালাম। যাতে ‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ লাভ করতে পারে, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে সবাই সংকল্প নিলাম।