গত ১৭ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে অবস্থিত মোগলমারি বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন
- By : Dr Anirban Ganguly
- Category : Events, Photo Gallery

গত ১৭ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে অবস্থিত মোগলমারি বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন – এর আমন্ত্রণে মোগোলমারি বুদ্ধ মহাবিহার এ গিয়েছিলাম। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর লেখা ‘সি-ইউ-কি’ ভ্রমণ বৃত্তান্তে এই মহাবিহারের উল্লেখ আছে। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক থেকে মোগোলমারি বুদ্ধ মহাবিহার জ্ঞান চর্চার এক অন্যতম পীঠস্থান হিসেবে সমৃদ্ধি লাভ করেছিলো। প্রাচীন ভারতের প্রসিদ্ধ বন্দর তাম্রলিপ্ত এর সঙ্গে এই বৌদ্ধ মহাবিহারের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই বৌদ্ধ মহাবিহারের ব্যাপক খ্যাতি ছিলো এবং জ্ঞান চর্চা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোগলমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাচীন এই বৌদ্ধ পীঠ কে পুনরুজ্জীবিত করে তার ঐতিহ্য কে সংরক্ষণ ও সমগ্র বিশ্বে পুনরায় তার খ্যাতির সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব। স্থানীয় চিন্তাবিদ ডঃ অতনু প্রধান এবং বিশিষ্ট লেখক শ্রী অতনুনন্দন মাইতি মহাশয়ের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক স্থানটি পরিদর্শন করে তার অতীত ঐতিহ্যকে চাক্ষুষ করলাম। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মহাশয় ১৯৫২ সালে দাঁতনে এসেছিলেন এবং সেই সময় তিনি মহাবোধি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ ঐতিহ্য কে পুনর্জাগরিত করার ক্ষেত্রে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির অবদান অনস্বীকার্য এবং তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয় সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বুদ্ধদেবের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে ধম্মযাত্রার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।