দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৩নং সোনাখালী গ্রাম।

Video Gallery


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৩নং সোনাখালী গ্রাম। ২০০০ সালেও এই গ্রামের সনাতনীদের স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার ছিল না। গ্রামের সনাতনীদের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো দুষ্কৃতী আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে জেহাদিবাহিনী। সনাতনীদেরকে জমির ধান ট্যাক্স হিসেবে দিতে হতো, গরু চুরি করে নিয়ে যেত য্খনতখন, সনাতনী পরিবারের মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যেত জেহাদিরা। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটে চললেও সে সময়ের রাজনীতির নেতারা, পুলিস-প্রশাসন কেউ সনাতনীদের সুবিচার দিতে পারেনি। তাই এর প্রতিকার করতে, সনাতনীদের স্বাধীনভাবে মাথাউঁচু করে বাঁচার অধিকার দিতে এগিয়ে এসেছিলেন, গ্রামের কয়েকজন তরতাজা যুবক। সনাতনী বিচারধারার সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সেই যুবকদের নেতৃত্বে সনাতনীদের ঐক্য গড়ে ওঠে সোনাখালী ও আশেপাশের গ্রামে। সেই মতো তারা ২০০১ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি একটি বনভোজনের আয়োজন করে। কিন্তু তার আগের দিন ১০ই ফেব্রুয়ারি সনাতনীযুবকদেরকে ঘিরে ধরে আনোয়ার হোসেন ও তার বাহিনী। গুলি করে , গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে তরতাজা চার যুবক #অভিজিৎ_সর্দার, #পতিতপাবন_নস্কর, #অনাদি_নস্কর এবং #সুজিত_নস্কর কে হত্যা করা হয়। তার প্রতিবাদে সনাতনীরা জেহাদিদের গ্রামছাড়া করে। আজও পর্যন্ত সেই গ্রামে জেহাদিরা ফিরতে পারেনি।
আজ ১০ই ফেব্রুয়ারি, আজকের দিনে তাদের স্মৃতি মন্দিরে উপস্থিত থাকতে না পেরে দুঃখিত। তবে এমন মন্দিরে নিজেকে আত্মিকভাবে যুক্ত করতে পেরে ধন্য। এ মন্দির আমাদের মাটি রক্ষার লড়াই করতে শেখাক। বীর সন্তানদের জীবনাহুতি কখনই বৃথা যাবেনা।